Samiul Islam
Samiul Islam

Responsive Blogger Template.

Monday, March 30, 2020

অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে না ঢাবি

ঢাবি প্রতিনিধি : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে এ সময় দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গত সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেওয়া কমিশনের এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়।

তবে ইউজিসির এ আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই মুহূর্তে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীদের সেশনজটের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

আজ জাগো প্রহরীকে উপাচার্য জানান, দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়ে যাবে। তখন শিক্ষকরা অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে করোনা বন্ধের ঘাটতি পূরণ করে দিবে।

নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকানোর পদক্ষেপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টানা বন্ধ থাকায় সেশনজটের আশঙ্কায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ থেকে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের চিন্তাগ্রস্থ না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে। তখন অতিরিক্ত সময় দিয়ে ঘাটতি পূরণ করা হবে।

অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা করোনার কারণে সমস্যায় পড়ে গেল। যেহেতু এটা একটি জাতীয় সমস্যা তাই একে যে কোনো ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এ সমস্যা যখন শেষ হয়ে আসবে তখন আমাদের শিক্ষকরা বিষয়টির দিকে সদয় দৃষ্টি দিবেন। তারা অতিরিক্ত সময় দিলে এই ঘাটতি পূরণ করা যাবে। করোনার কারণে আমরা যদি এক-দু’মাস পিছিয়ে যায়, তাহলে হয়তো সমস্যাটি সমাধানের জন্য আমাদের বিশেষ ড্রাইভ লাগবে।

অনলাইন ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা মোবাইল অপারেটরদের সাথে কথা বলছিলাম। কিন্তু একেকজনের একেক নেটওয়ার্ক হওয়ার কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না।

জুমার বয়ানে করোনা সম্পর্কে যা বললেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

হাটহাজারী প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের (COVID- 19) ভয়াবহতার মুখে আজ পুরো বিশ্বের মানুষ নিজ গৃহে বন্দি জীবনে বাধ্য হচ্ছে। জারি করা হয়েছে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা। ভাইরাসটাতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৫লাখ সাতানব্বই হাজার ২৬৭ জন। যার মধ্যে ২৭হাজার ৩৬৫ জন মারা যান।

করোনার এই পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার (২৭ মার্চ) জুমু’আর নামাযের পূর্বে দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার কেন্দ্রীয় বায়তুল কারীম জামে মসজিদে ইসলামের বিধান ও স্বাস্থ্য সচেতনতার ওপর দিকনির্দেশনামূলক বয়ান করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

কুরআন-সুন্নাহর আলোকে প্রদত্ত বয়ানে সূরা আহযাবের ৪৩ নং আয়াত তিলাওয়াত করে তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তায়া’লা পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ করেছেন-তিনি মুমিনদের প্রতি পরম দয়ালু। আল্লাহ তায়া’লা অত্যন্ত দয়া-মায়া করে আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ তায়া’লা তাঁর মায়া-মমতার একশ ভাগের একভাগ সমস্ত সৃষ্টি জীবের মাঝে বন্টন করে দিয়েছেন আর বাকি ৯৯ ভাগ রোজ হাসরের নিজের কাছে জমা রেখে দিয়েছেন। এই এক ভাগ পেয়েই সৃষ্টি জীব পরস্পরের মধ্যে একে অপরকে মায়া-মমতা করে। মায়া মোহাব্বতের বান্দারা যখন আল্লাহ তায়া’লার অবাধ্যতা আর নাফরমানী করে তখন আল্লাহ তায়া’লা রাগান্বিত হন। বিভিন্ন আযাব-গযব ও বালামুসিবত দিয়ে বান্দাকে গুনাহ ছেড়ে তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার সংকেত দেন। তাওবা করে গুনাহ ক্ষমা চেয়ে আল্লাহ তায়ালার দিকে তা প্রত্যাবর্তনের আহবান করেন। যেমন পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা নুহ এর ১০ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে- তোমরা তোমাদের পালনকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন,বর্তমানে আমাদের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলসহ সর্বক্ষেত্রে শুধু গুনাহ আর গুনাহ। হয়ত এসব গুনাহের কারণেই আজ করোনা ভাইরাসের মতো এই মহামারি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। গুনাহের কারণে আল্লাহ তায়া’লা বান্দাকে আযাব গযবে নিপতিত করেন। সূরা শুরার ৩০ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে- আল্লাহ তায়া’লা বলেন, ‘‘তোমাদের ওপর যেসব বিপদ আপদ পতিত হয় তা তোমাদের কর্মেরই ফল। এবং তিনি তোমাদের অনেক গুনাহ ক্ষমা করে দেন।’’ সূরা সেজদা ২১ নং আয়াত-আল্লাহ তায়া’লা বলেন, ‘‘গুরু শাস্তির পূর্বে আমি অবশ্যই তাদেরকে লঘু শাস্তি আস্বাদন করাবো। যাতে তারা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে।’’ সূরা আনকাবুতের ৪০ নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘‘আমি প্রত্যেককেই তার অপরাধের কারনে পাকড়াও করেছি।’’ সুতরাং বর্তমান সময়ের এই মহামারি গুনাহেরই ফসল।

বর্তমান সবচে বড় আল্লাহর নাফরমানি হলো আল্লাহর নাজিলকৃত ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র,ইসলামকে নির্মূল করার অপচেষ্টা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন। নামায কাযা করা, সুদ-ঘুষ,আত্মসাৎ,হাইজ্যাক চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস,বেপর্দা,নাচগান ইত্যাদি। তাই নাজুক মুহূর্তে যাবতীয় গুনাহ পরিত্যাগ করে খাঁটি দিলে তাওবা করে আল্লাহ তায়া’লার দিকে রুজু হতে হবে।
তিনি বলেন, কেহ করোনাভাইরাসে বা অন্য কোনো রোগে অসুস্থ হলে সে মসজিদে আসবে না। এই মহামারিতে কোনো মুসলমান মারা গেলে সে অবশ্যই রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লামের হাদিস অনুযায়ী শহীদ হবে। তাকে ইসলামি বিধানানুযায়ী জানাযা ও দাফন কাফন করতে হবে। দুঃখজনকভাবে বলতে হয় আজ ৯০% মুসলিম অধ্যুষিত এই দেশে টিভি টকশোতে করোনায় আক্রান্তদের লাশ আগুনে পুড়ে ফেলার দাবি করা হচ্ছে। এমন কথা মেনে নেওয়া যায় না। মুসলমানের লাশ আগুনে পুড়ার কথা বলে চরম ধৃষ্টতা দেখানো হয়েছে। লাশ আগুনে পুড়ে ফেলা হিন্দুয়ানী রীতিনীতি। এবং মুসলমানদের জন্য ইহা হারাম। ঢালাওভাবে করোনায় মৃতদের লাশ আগুনে পুড়ার কথা বলে ওরা মূলত এদেশকে হিন্দুয়ানী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন, হক্কানী ওলামায়ে কেরাম দেশ ও জাতির ঈমান আকিদা রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। জাতির কর্ণধার। বর্তমান এই নাজুক মুহূর্তে ওলামায়ে কেরাম কুরআন সুন্নাহর আলোকে জাতিকে সঠিক পথ প্রদর্শন করতে হবে। কুরআন-সুন্নাহর আলোকে করণীয় ও বর্জনীয় ঠিক করে দিতে হবে।

ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, রোগীর দেখাশোনা ও সেবা-শুশ্রূষাও একটি ইবাদত। রোগীদেরকে যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। এখলাছ ও নিষ্ঠার সাথে সেবার মহৎ কাজ করলে আল্লাহ তায়া’লার নিকট এর উত্তম বিনিময় পাওয়া যাবে।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন,আমরা সরকারের নির্দেশ অবশ্যই মানব ৷ কিন্তু মহান রাব্বুল আলামিনের নির্দেশ আরো হাজারগুণ মানতে হবে। তাই গুনাহ ছেড়ে দিয়ে পূর্বকৃত পাপকাজ থেকে তাওবা করে আল্লাহ তায়া’লার দিকে ফিরে আসতে হবে। এবং শর’ঈ বিধানকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার,স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অভিজ্ঞ ডাক্তাররা যেসব পরামর্শ দেন তা যথাযথ ভাবে মেনে চলতে হবে। আল্লাহ আমাদের এই মহামারি থেকে মুক্তি দিন। আমিন ৷

করোনা প্রেক্ষিতে আজ ঢাকা ত্যাগ করবে ৪২৩ মার্কিন নাগরিক

জাগো প্রহরী ডেস্ক: কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে আজ সোমবার (৩০ মার্চ) ঢাকা ছাড়বেন প্রায় ৪২৩ জন মার্কিন নাগরিক ও কূটনীতিক।  সন্ধ্যা ৬টায় ফ্লাইটটি ঢাকা ত্যাগ করবে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
জানা গেছে, ঢাকা ত্যাগ করার তালিকায় মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে কূটনীতিক, পর্যটক  ও বাংলাদেশে কর্মরতরা আছেন। ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে সার্বিক  প্রস্তুতি দেখতে দুপুরে বিমানবন্দরে যাবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
এর আ
গে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন ৩৬৪ জন মালয়েশিয়ান ও ভুটানের নাগরিক।  ২৫ মার্চ রাতে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়ান নাগরিকরা ঢাকা ত্যাগ করেন। ওই ফ্লাইটে মালয়েশীয় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ দেশটির মোট ২২৫ জন নাগরিক ছিলেন।
অন্যদিকে, ২৬ মার্চ সকালে দ্রুক এয়ারের দুটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়েছেন ১৩৯ জন ভুটানের নাগরিক। ওই দুটি ফ্লাইটে ঢাকায় কর্মরত ভুটান দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ বাংলাদেশে অধ্যয়নরত দেশটির শিক্ষার্থীরা ছিলেন।

মাওলানা তারিক জামিলের আহ্বান: করোনায় গরিবদের সহায়তা করতে ধনীদের

মাওলানা তারিক জামিলের আহ্বান করোনা: গরিবদের সহায়তা করতে ধনীদের
মাওলানা তারিক জামিলের আহ্বান করোনা: গরিবদের সহায়তা করতে ধনীদের

জাগো প্রহরী: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অসহায় ও দরিদ্র লোকদের ত্রাণ সহায়তা দিতে ধনীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম ও দাঈ মাওলানা তারিক জামিল। তিনি বলেছেন, এই সময়ে ধনীরা যদি ঠিক মতো জাকাত দেয় তাহলেও কোনো দুঃস্থ পরিবারই অনাহারে থাকবে না।

রোববার (২৯ মার্চ) উর্দু গণমাধ্যম জিও নিউজের এক অনুষ্ঠানে উপস্থাপক মিজান সালিম সাফির এক প্রশ্নোত্তরে তারিক জামিল এই আহ্বান জানান। একইসঙ্গে করোনা ভাইরাসের সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সম্পর্কে মাওলানা তারিক জামিল বলেন, তিনি এমন সময় পাকিস্তানের শাসক নির্বাচিত হয়েছেন যখন তার খুব দোয়ার প্রয়োজন। একজন শাসকের একটি ভুল সিদ্ধান্তে গোটা জাতি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে আবার তার একটি সঠিক সিদ্ধান্তে পুরো জাতি বেঁচে যেতে পারে। এজন্য আমি সবসময় সব শাসকের জন্য দোয়া করি।

সরকারের ভাল কিছু করতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এই নাজুক পরিস্থিতিতে বিরোধী দলগুলোও যেন ইমরান খানকে সহায়তা করে আমি সেই আহবান জানাই।

ডেইলি জং অবলম্বনে বেলায়েত হুসাইন

বৃৃৃৃদ্ধি পেতে পারে ছুটি



মহামারী করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই ছুটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টকয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকার মনে করছে, করোনা নিয়ন্ত্রণে ছুটি ভালো ফল দিয়েছে। গত দুইদিন নতুন করে কোনো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। ৪ তারিখ আসতে আরও কয়েকদিন রয়েছে। এরমধ্যে পরিস্থিতি বোঝা যাবে।

তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি যাই হোক, ছুটি বাড়ানো ছাড়া আপাতত অন্য কোনো বিকল্পও নেই। কারণ আগামী ছুটির দিনগুলোতেও যদি নতুন করে যদি কেউ আর আক্রান্ত নাও হয়, তবেও ঝুঁকিমুক্ত থাকতে ছুটি বাড়ানো উচিত। আর আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে তো আবশ্যিকভাবেই ছুটি বর্ধিত করতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ছুটি বাড়বে কি বাড়বে না, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীই নেবেন। আর ছুটি বাড়লেও, তা কোন তারিখ পর্যন্ত নেয়া হবে, তা সবার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন।

ছুটি বাড়ানো হলে তা ১১ এপ্রিল কিংবা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম জাগো প্রহরীকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের আবেদন থাকবে ছুটি আরও কিছু দিন বাড়ানো হোক। এতে আমরা আরও নিশ্চিত হতে পারব, আরও ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারব।’

এ বিষয়ে কথা বলতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ার ইসলামকে ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান জাগো প্রহরীকে বলেন, ‘ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি দেখে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।’

দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি এবং তা মোকাবেলায় গত ২৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাথে আলোচনা করেন। এর আগে তিনি সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী ১০ দিন ছুটিসহ দশটি সিদ্ধান্ত দেন।

ঐদিনই বিকেলে সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর এসব সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, আগামী ২৬ মার্চের সরকারি ছুটি এবং ২৭ থেকে ২৮ মার্চের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ ও ৪ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন এই বন্ধের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবার জন্য এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।

ছুটি বাড়বে কিনা- জানতে চাইলে রোববার (২৯ মার্চ) ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা পর্যবেক্ষণ করবো আপনারাও পর্যবেক্ষণ করবেন দেশবাসী করবেন, প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি ১০ দিনে দেশের ও পৃথিবীর পরিস্থিতি মোটামুটি একটা সহনশীল অবস্থায় চলে আসে তখন এক ধরনের চিন্তা হবে। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেব যে, পরিস্থিতি দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করার। প্রধানমন্ত্রী যদি পরিস্থিতি দেখে ছুটি বাড়াতে চান তো বাড়াবেন, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে চিন্তা-ভাবনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন তিনি।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) রোববারের (২৯ মার্চ) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আর কেউ আক্রান্ত হয়নি। শনিবারের মতো রোববারও দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা আগে যা ছিল তা-ই আছে। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পরীক্ষায় নতুন করে কারও শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রমিত মোট ১৫ জন সুস্থ আছেন বলে জানানো হয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা ৫ জনই আছে।

Sunday, March 29, 2020

কাইশ্যা ‘ওরফে শিমুরা’ কেন মারা গেলেন করোনায়

কাইশ্যা ‘ওরফে শিমুরা’ কেন মারা গেলেন করোনায়
কাইশ্যা ‘ওরফে শিমুরা’ কেন মারা গেলেন করোনায়

জাপানের জনপ্রিয় কমেডিয়ান কেন শিমুরা বাংলাদেশে কাইশ্যা নামে পরিচিত। বাংলাদেশের নোয়াখালীর একটি পরিবার কেন শিমুরার কমেডি ভিডিওগেুলি বাংলায় ডাবিং করে ইউটিউবে শিমুরার চরিত্রকে কাইশ্যা নামে প্রচার করে। এরপর থেকে কেন শিমুরা বাংলাদেশে কাইশ্যা নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। তার আসল নাম ইয়াসুনোরি শিমুরা

বাংলাদেশের জনপ্রিয় কাইশ্যা জাপানের এই কেন শিমুরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল রোববার (২৯ মার্চ) রাতে জাপানের একটি হাসপাতালে কেন শিমুরার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।

জাপান টাইমস এর বরাতে ফ্রি প্রেস জার্নাল জানিয়েছে, ২০ মার্চ জ্বর ও নিউমোনিয়া নিয়ে টোকিওর একটি হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৩ মার্চ তার শরীরে করোনাভাইরাস চিহ্নিত হয়। এরপর রোববার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জনপ্রিয় কমেডিয়ান ১৯৭০ সালের দিকে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। বিশ্বজুড়েই কমেডিয়ান হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় শিমুরা। বাংলাদেশে তার ডাবিং ভিডিওগুলো সব বয়সীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

বাংলাদেশে তিনি কাইশ্যা নামেই পরিচিতি পেয়েছিলেন। কেন শিমুরার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলা ডাবিং ভিডিও আপলোড করা পাগলা ডিরেক্টর চ্যানেলের পরিচালক তিন ভাই রাজু, সুজন ও সজিব।

/এসএস

কোয়ারেন্টিনের সময়গুলো

কোয়ারেন্টিনের সময়গুলো
কোয়ারেন্টিনের সময়গুলো

সময়গুলো মূল্যবান। সারা বছর অন্যান্য দিনগুলি খুবই ব্যস্ততায় কাটে। অথচ গত এক সপ্তাহ ধরে অবসরে আছেন। আমি জানি কোন কাজ ব্যতিত ঘরে বসে থাকা একজন কর্ম ব্যস্ত মানুষের নিকট কতটা কঠিন ব্যাপারটা। তাছাড়া বাইরের আবহাওয়া বলেও তো একটা কথা আছে। অন্যান্যদিনগুলো নিছক হাওয়া খেতে হলেও বের হতেন সেটা যতসামান্য হলেও তাতেই আত্মতুষ্টি মিলত। আচ্ছা, এই থমকে যাওয়া, লকড-ডাউন, কোয়ারেন্টিন ইত্যাদির সাথে আপনি কিংবা আমি কেউই পরিচিত নয়। হাঠাৎ ই গোটা পৃথিবীর সব দেশ, শহর, গ্রাম তার স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফলেছে। মানুষগুলো হারিয়েছে তাদের অস্থিরতা। এমনটি হবার কথা ছিল না।

আল্লাহ আযযা ওয়া জাল আমাদের উপর না-খোশ হয়ে আছেন। এই মূল্যবান সময়গুলো আর যা ই করি তাঁকে একটু সময় দিই। সিজদাহে মাথাটা জায়নামজে লুটিয়ে দিয়ে পাহাড় সমপরিমাণ গুনাহগুলোর জন্য কাঁদতে মন চাই না? আচ্ছা পুরো দিন তো আপনাকে সালাত আদায় করতে বলা হচ্ছে না বরং পুরো ২৪ ঘন্টার মাত্র ১ ঘন্টা ব্যয় করে আপনি পাঁচ ওয়াক্তের সালাত সুন্দরভাবে আদায় করতে পারেন। এই তো গেল সালাতের কথা। বাদ বাকি সময়গুলোও বেহুদা নষ্ট না করে খুব সুন্দর এবং প্রোডাক্টিভ কাজে ব্যয় করতে পারেন। [কিছু আইডিয়া শেয়ার করছি যদি কারো উপকারে আসে]

পুরোদিনকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে নিতে পারেন। যেমন সকালের সময়টাতে কি করবেন, বিকেলের সময়টা, সন্ধ্যা এবং রাতে যা যা করবেন তার পূর্ব পরিকল্পনা করে নিতে পারেন। কারণ পরিকল্পিত কাজগুলো পরবর্তীতে করতে আপনার জন্য সহজ হবে এতে আপনার কাজের একটা লক্ষ্য থাকবে ও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য হাশিলের পথে আগাতে পারবেন (ইন শা আল্লাহ)।

টিপস-১ ( উপকারী বই পড়া) :

এই মূল্যবান সময়টা আপনি জ্ঞানার্জনে ব্যয় করার ব্রত নিতে পারেন। যেহেতু এই সময়টা বাইরের কোন চিন্তা মাথায় আসবে না (অফিস, পড়ালেখার বাড়তি চাপ) তাই একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার মনযোগ ধরে রাখতে পারবেন। ইসলামিক ধাঁচের বইগুলো অধ্যয়ন করতে পারেন।

কি ধরনের বই পড়বেন?

সীরাহ, কোরআনের তাফসীর, সাহাবাদের জীবনী। তাছাড়া আপনি চাইলে আপনার পছন্দের যেকোন ইসলামিক বই পড়তে পারেন। মনে রাখবেন, আপনার পঠিত বইগুলো যেন শুধু পড়ে শেষ করার উদ্দেশ্য না হয় বরং তা থেকে শিক্ষণীয় উপকারী জ্ঞান যেন বাস্তব জীবনেও প্রতিফলিত হয়। চাইলে নির্দিষ্ট লক্ষ্য সেট করে এই দিনগুলোতে আপনার পড়ার একটা সিডিউল বানিয়ে নিতে পারেন আপনার সুবিধা অনুযায়ী।

টিপস-২ (কোরআন তিলাওয়াত) :

অন্যান্য সময় (ব্যস্ততার কারণে) হয়তো কোরআন পড়তে পারেন না। চাইলে এই অল্প ক'দিনে কোরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস তৈরি করতে পারেন।

ফজরের পরে কয়েক পৃষ্ঠা কোরআন তিলাওয়াত করে অন্তরকে পরিশুদ্ধ নিতে পারেন। ইন শা আল্লাহ —আল্লাহ চাইলে এই অভ্যাস কন্টিনিউ হতে থাকবে। অবসরে সুমধুর তিলাওয়াত শোনে হৃদয়কে প্রশান্ত করে নিতে পারেন।

টিপস-৩ ( পরিবারকে সময় দেয়া) :

আপনার ব্যয়কৃত সময়গুলোর একটা অংশে আপনার পরিবারের হক আছে। এই সুযোগে তাদের হক আদায় করে নিন। তাদের সাথে বিভিন্ন দ্বীনি আলোচনাসহ পরিবারের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলুন। বিবাহিত ভাই-বোনেরা আপনারা দ্বীনি হালকা করতে পারেন। ভাইয়েরা স্ত্রীর কাজে সাহায্যের মাধ্যমে রাসূলের (সাল্লাল্লাহু' আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুন্নাহ আদায় করে নিতে পারেন।

টিপস-৪ (লেখালেখি) :

যারা লিখেন, এই সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়ন করে আপনারা নোটে লিখে রাখতে পারেন। সময় নিয়ে গবেষণামূলক লেখাগুলোকে আরো সুন্দর এবং গভীর আলোচনায় সাজাতে পারেন।

ব্যক্তিগত টাইমস্ স্পেন্টের পাশাপাশি আমাদের দেশ ও জাতিকে নিয়েও চিন্তা করতে হবে। কারণ আল্লাহ'র রাসূল (সাল্লাল্লাহু' আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

“মুসলিমেরা সকলে মিলে একটি দেহের মতো, যার চোখে ব্যথা হলে গোটা দেহের কষ্ট হয়, মাথায় ব্যথা হলেও গোটা দেহের কষ্ট হয়।” (সহীহ মুসলিম : ২৫৮৬)

আপনি হয়তো ঘরে পর্যাপ্ত খাবার মজুদ রেখে, পরিবারকে নিয়ে শান্তিতে, নিশ্চিন্তে আরো কয়েক মাস কাটিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন আপনার সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষদের কথা? যারা দিন এনে দিন খায়। ভেবেছন কি বাসার কাজের লোকটির কথা কিংবা গরীব প্রতিবেশিদের কথা? তাদেরকে অনাহারে রেখে আপনি কিভাবে সুখে উদর পূর্তি করবেন? দেশের এই সংকটাপন্ন অবস্থাতে তাদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়া কি আপনার মূখ্য কর্তব্য নয়? উল্লেখ্য হাদিসটি রিমাইন্ডার হিশেবে দেয়া। আমরা কি প্রকৃত মু'মিন হব না?

এই তো গেল মুসলিম হিশেবে অপর মুসলিমের প্রতি আপনার হক। এই বিপর্যয়ের মুহূর্তে ইসলাম বলে 'দান-সাদাক্বাহ' করতে। কারণ তিরমিজির একটি হাদিসে আল্লাহ'র রাসূল (সাল্লাল্লাহু' আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,

“নিশ্চয় দান-সাদাক্বাহ (মানুষের) পাপাচারের কারণে আল্লাহর গজবের যে আগুন সৃষ্টি হয় তাকে নিভিয়ে দেয়; যেভাবে আগুন পানিকে নিভিয়ে দেয়।” (তিরমিজি)

আমি আগেই বলেছি বিশ্বব্যাপি এই মহামারী আমাদের হাতের কামায়। আমাদের কৃতকর্মের ফল। আল্লাহ আযযা ওয়া জাল আমাদের উপর রেগে আছেন। আমরা কি এখনো আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা'র রাগকে নিবারন করবো না। আসুন স্ব-স্ব অবস্থান থেকে দান-সাদাক্বায়ের হাতকে প্রসস্থ করি। এই সময়ের দানের মাধ্যমে দুস্থ অসহায়দের সাহায্য ও আল্লাহ নৈকট্য উভয় ই হাশিল হবে (ইন শা আল্লাহ)

দান কিংবা সাদাক্বাহ নিয়ে আল্লাহ'র রাসূলের (সাল্লাল্লাহু' আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি হাদিস রয়েছে। তিনি বলেন, “দান কর একটি খেজুর দিয়ে হলেও।..” (সহীহ বুখারী)

সুতরাং বুঝা গেল দান শুধু বিত্তশালীরাই অঢেল টাকা পয়সা দিয়ে করবে এমনটি নয় বরং আল্লাহ'র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আপনার যতসামান্য কিছু দানও আল্লাহ কবুল করবে (ইন শা আল্লাহ)।

[পরিশেষে কে কিভাবে হোম কোয়ারেন্টিনের সময়গুলো কাটাচ্ছেন অবশ্যই জানাবেন। ইন শা আল্লাহ নতুন কিছু আইডিয়া পাওয়া যাবে।]
সমাপ্ত

লেখাঃ সিয়াম ভূঁইয়া (আল্লাহ্‌ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)

Health

[Featured][recentbylabel]

Ad Placement

Notification
This is just an example, you can fill it later with your own note.
Done